কাল থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বর্ধিত ভাতা প্রদান কার্যকর হচ্ছে |
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সাড়া জাগানো প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বর্ধিত ভাতা কার্যকর হচ্ছে নয়া অর্থবর্ষের প্রথম দিনেই। তবে প্রতি বছরের মতো এবারও ১ এপ্রিল ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছতে লেগে যাবে আরও একদিন। মোট ২ কোটি ১৬ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বর্ধিত হারে ভাতা পৌঁছবে। যাঁরা এতদিন ৫০০ টাকা করে পেতেন, তাঁরা পাবেন দ্বিগুণ। এসসি, এসটি তালিকাভুক্ত মহিলারা এতদিন ১০০০ টাকা করে পেতেন। তাঁরা পেতে চলেছেন ১২০০ টাকা করে। সেই সঙ্গে রাজ্যের প্রতি মাসের খরচও প্রায় দ্বিগুণ হতে চলেছে। মার্চ মাসে যেখানে এই ভাতার জন্য খরচ হয়েছিল ১১৮৭ কোটি টাকা, সেই জায়গায় এপ্রিলে রাজ্যের কোষাগার থেকে বেরবে ২২২৮ কোটি টাকা।
২০২১-এ বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। সেই বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে এসসি-এসটি সম্প্রদায়ের মহিলাদের জন্য মাসে এক হাজার টাকা এবং বাকিদের জন্য পাঁচশো টাকা করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো শুরু করে সমাজকল্যাণ দপ্তর। এবার লোকসভা ভোট ঘোষণার অনেক আগেই মুখ্যমন্ত্রী বর্ধিত হারে ভাতার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই মতো কাল থেকে শুরু হচ্ছে প্রতিশ্রুতির রূপায়ণ।
কোভিড-কালে মানুষের হাতে নগদ টাকার জোগান বাড়ানোর জন্য একাধিক উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের অর্থনীতির পাশাপশি এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে তৃণমূলের ভোটবাক্সেও। পরবর্তী সময়ে জানা যায়, উপভোক্তারা মাসে মাসে এই টাকা হাতে পেয়ে নানা ধরনের কাজে লাগাতে পেরেছেন। প্রতীচী ট্রাস্টের সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রায় ৭৮ শতাংশ উপভোক্তা সংসার খরচ চালাতে এই টাকা কাজে লাগিয়েছেন। প্রায় ৪২ শতাংশ উপভোক্তা টাকা খরচ করেছেন ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য। প্রায় ৩৫.৩ শতাংশ মহিলা পোশাক, প্রসাধনী, খাওয়া-দাওয়ার মতো নিজেদের সাধপূরণ করতে খরচ করেছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। এই আবহে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই নানা মহল থেকে ভাতা বৃদ্ধির দাবি উঠেছিল।
রাজ্যের এক আধিকারিকের কথায়, ‘১ এপ্রিল থেকেই কার্যকর হচ্ছে বর্ধিত হারে ভাতা প্রদান। কিন্তু ওই দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে। তাই উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে ২ এপ্রিল।
.png)
