সিজন চেঞ্জের সংক্রমণ ভাইরাসের নাকি ব্যাকটেরিয়ার | Seasonal infection is viral or bacterial

Get Jobs
By - MD M SEKH
0

www.getjobs.org.in/2024/02/seasonal-infection-is-viral-or-bacterial.html

সিজন চেঞ্জের সংক্রমণ ভাইরাসের নাকি ব্যাকটেরিয়ার | Seasonal Infection is Viral or Bacterial

এবার শীত খুব বেশিই পড়েছিল। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আবহাওয়ার ভেল্কিও আমরা দেখলাম। মোটামুটি গরম লাগতে শুরু করেছিল, হঠাৎ ফের শৈত্যপ্রবাহ শুরু হল। আর তার ফলাফলও হল মারাত্মক। ঘরে ঘরে দেখা দিল জ্বর, সর্দি, কাশি আর হাঁচি। প্রশ্ন হল কেন এমন হচ্ছে? তবে কি কোনও নতুন ভাইরাস শুরু করল আক্রমণ?

ভাইরাস নিয়ে চিন্তা? (Worried about viruses?)

ঋতু পরিবর্তনের সময়টাই হল ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বাড়বাড়ন্তের সময়। এই কারণেই চট করে সাধারণ মানুষ রেসপিরেটরি ট্র্যাক্ট-এর নানা সংক্রমণের কবলে পড়঩ছেন। মরার উপর খাঁড়ার ঘা-এর মতো বায়ুদূষণের মাত্রারও ঘটেছে বৃদ্ধি। জোর দিতে হবে রোগ প্রতিরোধের উপর। অর্থাৎ পরতে হবে মাস্ক। বেশি লোকজনের ভিড় রয়েছে এমন জায়গা এড়িয়ে চলতে হবে। যাঁদের আগে থেকেই হার্টের অসুখ, সিওপিডি, অ্যাজমা, কিডনির অসুখ, ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশার রয়েছে কিংবা রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস-এর মতো সমস্যার কারণে ডিজিজ মডিফাইং ড্রাগ খেতে হয় তাঁদের নিজেদের একটু সাবধানে থাকতে হবে। ষাট বছর বয়স হয়ে গেলেই কিংবা হার্ট, কিডনি, ফুসফুসের অসুখ, ক্যান্সারের মতো গুরুতর শারীরিক সমস্যা থাকলে অবশ্যই নিউমোনিয়ার এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন নিতে হবে।

সংক্রমণ ভাইরাসের নাকি ব্যাকটেরিয়ার| (The infection is viral or bacterial)

সিজন চেঞ্জের সময় হাঁচি, নাক দিয়ে জল বা সর্দি ঝরা, হাল্কা গলা ব্যথা, কাশি, জ্বর দিয়ে সমস্যা শুরু হচ্ছে মানে প্রাথমিকভাবে ধরেই নিতে হয় সমস্যাটা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে হচ্ছে। তবে ভাইরাসের এই আক্রমণের ফাঁকে কারও কারও শরীরে ব্যাকটেরিয়াও ঢুকে পড়ে ও সংক্রমণকে করে তোলে জটিল। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ক্ষেত্রে লোয়ার রেসপিরেটরি ট্র্যাক্ট অর্থাৎ ফুসফুসেও সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। রোগী মারাত্মক কাশি, কফ বেরনো ও তার সঙ্গে বুকে চাপবোধের সঙ্গে ব্যথার কথাও বলছেন। এমন ক্ষেত্রে রোগীর উচিত ফিজিশিয়ানের পরামর্শ নেওয়া।

সকলেরই কী পরীক্ষা দরকার? (What test does everyone need? )

টেস্ট করাতে হবে কি না তা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে রোগীর শারীরিক পরিস্থিতির উপর। অর্থাৎ দেখা গেল একজন রোগী যার বয়স খুব কম, অন্য কোনও কোমর্বিডিটি বা ডায়াবেটিস, প্রেশার, হার্টের অসুখ, কিডনি ডিজিজ, ফুসফুসের রোগ নেই তাঁদের জন্য পরামর্শ হল— ভালো করে খাওয়াদাওয়া করুন, অর্থাৎ প্রোটিনজাতীয় খাদ্য বেশি করে খান, খান মরশুমি ফল খান। আর তার সঙ্গে উপসর্গভিত্তিক কিছু ওষুধ দেওয়া হয়। অর্থাৎ জ্বরের জন্য দেওয়া হয় প্যারাসিটামল। কফ হলে তার জন্য ওষুধ দেওয়া হয়। কাশি হলে কাফ সিরাপ ব্যস। বয়স বেশি হলে, কোমর্বিডিটি থাকলে, শ্বাসকষ্টের উপসর্গ থাকলে তখন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। এমন ক্ষেত্রে রোগ পরীক্ষা করাতেই হয়। সংক্রমণ সাধারণ নয় কখন বুঝবেন? উপসর্গ মৃদু হলে তিন থেকে পাঁচদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করা যায়। উপসর্গ মারাত্মক হলে দেরি করার অর্থ নেই। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ।

স্নান (Bath)
ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করতে পারেন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা সবসময়ই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

স্বাদ (Taste )
একটু কষ্ট করে পুষ্টিকর খাবার খান, চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলুন, দেখবেন ঠিক পোস্ত, সর্ষে পাবদা, দাই কাতলা, মাটনের স্বাদ ফিরছে জিভে।
Tags:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)