কমে ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা | Reduced Immunity of the Skin
শীতে স্নান করার কথা মনে পড়লেই গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। কম্বলের ওম ছেড়েই যেখানে বের হতে ইচ্ছা করে না, সেখানে আবার স্নান। তবুও কিছু মানুষ এই শীতে প্রতিদিন স্নান করেন। অনেকে মনে করেন, পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য প্রতিদিন স্নান অপরিহার্য। অনেকের বিশ্বাস, রোজ স্নান না করলে কিছু যাবে আসবে না। বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
তাঁরা জানাচ্ছেন, সব মানুষের শরীর থেকে একধরনের প্রাকৃতিক তেল বের হয়। বিশেষ করে মুখের দিকে তাকালে তা বোঝা যায়। এই তেলের কারণে আমাদের মুখ মসৃণ ও উজ্জ্বল থাকে। তবে সবার ত্বকের তেল নিঃসরণের হার সমান নয়। কারও বেশি নিঃসৃত হয়, কারও কম। তেল নিঃসৃত না হলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। খসখসে লাগে মুখ। এ ছাড়া আমাদের ত্বকের বাইরে কিছু ভালো জীবাণু থাকে। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। সব জীবাণুই ক্ষতিকর নয়। নিয়মিত স্নানে ওই উপকারী জীবাণুও ধুয়ে, মুছে সাফ হয়ে যায়। কমে ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
২০২০ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মিলেনিয়াল পডকাস্টে একটি জরিপ চালানো হয়। তখন পৃথিবীতে চলছে করোনা মহামারী। এই পরিস্থিতিতে শ্রোতাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তাঁরা প্রতিদিন স্নান করেন কি না? অর্ধেকেরও বেশি জানান, কোয়ারেন্টাইনের সময় তাঁরা নিয়মিত স্নান করেননি। ২০২০ সালে যুক্তরাজ্যের ডেইলি মেইল পত্রিকা জানায়, যুক্তরাজ্যের প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষ প্রতিদিন স্নান করেন না। যুক্তরাজ্যের ক্যাডোগান ক্লিনিকের পরামর্শক ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডেরিক ফিলিপস বলেন, ‘সামাজিক কারণে আমাদের দিনে একবার স্নান করা জরুরি। কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি নয়।’ তবে যে শিশু খুব বেশি অগোছালো থাকে তাদের তো রোজ স্নান করতেই হবে, তার সঙ্গে যাঁরা আর্দ্র স্থানে বাস করেন, ব্যায়াম করেন, কায়িক শ্রমের কাজ করেন এমন ব্যক্তিরও প্রতিদিন স্নান
বিশেষজ্ঞদের মতামত— শিশু, সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারী, জল সংরক্ষণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, ডেস্কে বসে কাজ করেন এমন ব্যক্তির প্রতিদিন স্নান না করলেও চলবে। তাই বলে তিন দিনের বেশি স্নান না করে থাকাও উচিত নয়।